মিশর…
ইংরেজিতে Egypt… উফফফ… দু’একটি দেশের এই যে দুই রকম নাম (ভারত যেমন India) কেমন জানি লাগে… কিন্তু মিশরের প্রতি আগ্রহ কার না আছে..!
পিরামিড, স্ফিংস, ফারাও, মমি…
তুতেন খামুন, রেমেসিস ২, ক্লিওপেট্রা, নেফারতিতি…
এই নামগুলো কৈশোরেই মাথার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল… স্কুলের বইয়ের পাতায় নীল নদের তীরে মিশর সভ্যতা গড়ে ওঠার ইতিহাস পড়ে ‘নীল’ নদের নামটা হৃদয়ে গেড়ে বসল… ‘নীল নদের জল আসলেই কি নীল..?’ এই প্রশ্নের উত্তর মনে মনে কত খুঁজেছি..!
স্থাপত্যকলায় পড়ার সময় মিশরের প্রাচীন স্থাপনার রহস্যে অভিভূত হয়েছি আর মনে মনে ভেবেছি- ‘একবার মিশর যেতেই হবে’…
সব সময় মাঝে সিঁথি করে চুল ছেড়ে রাখতাম বলে প্রণয়ের কালে হুমায়ূন আমায় ডাকতেন ‘মিশরীয় রাজকন্যা’… নিজেকে কোনো এক ফারাও রাজকন্যা ভেবে মনে মনে পুলকিতও হয়েছি কখনো কখনো…
২০০৪ এর পর দুই-দুইবার পরিকল্পনা করেও শেষ পর্যন্ত মিশর দর্শন হলো না হুমায়ূন আর আমার… তাই হঠাৎ যখন একটি স্থাপত্য বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য মিশর দর্শনের আমন্ত্রণ পেলাম, তখন হ্যাঁ বলতে ১০ সেকেন্ড সময়ও নেইনি…
Ditan, বান্ধবী তোকে ধন্যবাদ আমার সঙ্গী হওয়ার জন্য… তুই না থাকলে ‘মিশর’টা এতো ‘ঘটনাবহুল’ হতো না…
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)