বিশেষ প্রতিনিধি বাদশা খান
অনুমোদন ছাড়াই একের পর এক অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে। জেলার অধিকাংশ ইট ভাটাতেই পোড়ানে হচ্ছে কাঠ,ব্যাবহার করা হচ্ছে টিনের চিমনী । লোকালয় ও ফসলি জমির মাঝে গড়ে উঠা ভাটার দূষিত বায়ুর কারণে জনস্বাস্থের উপর যেমন প্রভাব পড়ছে তেমনি প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। এলাকাবাসীর অভিযোগ অবৈধ এসব ইটভাটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেনা প্রশাসন। আর প্রশাসন বলছে, ইটের ভাটায় অবৈধভাবে কাঠ পোড়ানের বিষয় তাদের জানানেই ।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলায় ৮৮ টি ইটভাটার মধ্যে ৭৬টিই অনুমোদনহীন। এর মধ্যে প্রায় ৬৫টি ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ব্যবহার করা হচ্ছে ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনির পরিবর্তে ৩০ ফুট উচ্চতার ড্রাম চিমনিও। ট্রাক ও ইঞ্জিনচালিত লরিতে করে এসব ভাটায় আনা হয় কাঠ। প্রতিদিন এ্ক একটি ভাটায় ৪০০-৪৫০ মণ কাঠ পোড়ানো হয় । কাঠ পোড়ানোর পাশাপাশি ইট প্রস্তুতের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমি ও জমির মাটি। এসব ভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরীতে ভাটা এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দারাও ভূগছেন বিভিন্ন রোগ-শোকে ।
ইটভাটা এলাকার বাসিন্দারা জানান,ইটভাটার ধোয়ায় ও ভাটার ধুলোয় তাদের বাড়ী ঘর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে দুঃচিন্তাতেও থাকতে হয়,কখন যেন তাদের শিশু ইটভাটায় পুড়ে যায়। গাছের ফল ধরে না,ধরলেও তা অকালে ঝড়ে পড়ে।
এদিকে ভাটা মালিকেরা বলছেন,তারা অন্য মালিকের কাছ থেকে লিস নিয়ে ভাটা পরিচালনা করছেন।তাদের কাগজ পত্র সঠিক আছে কিনা সেটা জানা নেই। আবার অনেকেই বলছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা ইটভাটায় কাঠ পোড়াচ্ছে।