১৬১ বছরের ঐতিহ্যবাহী এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র : শিক্ষার বাতিঘর” শুভ উদ্বোধন করলেন মাননীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ। কুমারখালী পৌরসভার নগরপিতা ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মো: সামছুজ্জমান অরুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন কুমারখালী-খোকসা অঞ্চলের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতি ছাত্র পাবনা জেলা পরিষদ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান জামিল, ঝিনাইদহ সরকারী নুর নাহার মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কবুয়াত আলী বিশ্বাস ও প্রাক্তন ছাত্র কৃষিবিদ এনামুল হক, মাসুদ রানা, কবি সৈয়দ আবদুস সাদিক, দীপু মালিক প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন মাও: আব্দুল হালিম। গীতা পাঠ করেন বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের সম্পাদক বাবু নিতাই কুন্ডু। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন আলতাফ মাহমুদ, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আ: রফিক বিশ্বাস, আ: গাফ্ফার, আলহাজ্ব সাইদুর রহমান লালু, আসাদুর রহমান আশা, অধ্যাপক শাহজাহান আলী, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। আরো বক্তৃতা করেন বিদ্যালয়েল প্রাক্তন শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম এবং প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক ও প্রাক্তন ছাত্র লিটন আব্বাস প্রমুখ।
প্রামাণ্যচিত্রের উদ্বোধন অনুষ্টানে সবার প্রায় একই দাবী উচ্চকিত কন্ঠে উচ্চারিত হয় ঐতিহ্য, ইতিহাস, সুনাম ও ও সাফল্যের খাতিরে এই বিদ্যাপিঠকে সরকারীকরণ করা আশু কর্তব্য। প্রধান অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যে এ বিদ্যালয়ের বাংলাদেশের অন্যতম সেরা- সুতরাং সরকারী না হওয়ার কোন অবকাশ নেই। অবশ্যই এই বিদ্যাপিঠ সরকারী করণ করা হবে। মেয়র সামছুজ্জামান অরুন বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি। কালের স্বাক্ষী এই বিদ্যালয় সবার আগে সরকারী হওয়া দরকার। পরিচালক লিটন আব্বাস বলেন, এ বিদ্যাপিট শিক্ষা হেরিটেজের অংশ । ম্যানুয়াল ক্যাটাগরিতে এই বিদ্যালয়কে না ফেলে বরং ইতিহাস-ঐতিহ্য কোঠায় মাননীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করানো গেলে নিশ্চয় এই বিদ্যালয় সবার আগে সরকারী হবে।