প্রতি কেজি আলুর দাম ৩ টাকা

টঙ্গীবাড়ীতে হিমাগারে মজুত রাখার আলুর বাজারে ধস পড়েছে। নতুন আলু বাজারে উঠলেও উপজেলার বিভিন্ন হিমাগারগুলোতে প্রচুর পরিমাণ আলু মজুত রয়েছে। হাট-বাজারে পুরাতন আলুর চাহিদা না থাকায় আলু বিক্রি করতে পারছে না কৃষক। এতে বিপাকে পড়েছে হিমাগার ব্যবসায়ী ও কৃষক।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) উপজেলার ধীপুর ইউনিয়নের শরিফ কোল্ড স্টোরে গিয়ে দেখা গেছে, হিমাগারে থাকা ৫০ কেজি বস্তার আলু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ছে তিন টাকা।
আলু ব্যবসায়ী সেন্টু বলেন, গত বছর ধার দেনা করে আলু রোপণ করছিলাম। ভেবেছিলাম হিমাগারে রাখলে বেশি দামে আলু বিক্রি করতে পারুম। অহন দেহি আলু আর বের করা সম্ভব না। হিমাগারে আলু রাখার ভাড়া দিতে পারুম না। তাই হিমাগারে রাখা আলুর দলিল হিমাগার মালিকের কাছে সারেন্ডার করতে হবে। আর যদি তারা না মানে ধার দেনা করে হিমাগারের টাকা পরিশোধ করতে হবে।
শরিফ কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, এ বছর হিমাগারে এক লাখ ৪৭ হাজার মজুত রাখা হয়েছিল। বাজারে আলুর দাম কম থাকায় কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু বের করছে না। অনেক আলু ব্যবসায়ী ও কৃষক আমাদের কাছ থেকে আলুর ওপরে ঋণ নিয়েছিল।
বাজারে দাম না থাকায় আমদের কাছে মজুত রাখা আলুর দলিল সারেন্ডার করছেন। সারেন্ডার করা দলিলের ৫০ কেজি বস্তার আলু আমরা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এখনো আমার হিমাগারে পাঁচ হাজার বস্তা আলু মজুত রয়েছে। এতে মোটা অংকের টাকা লোকসান হবে হিমাগার মালিকের।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আলম তালুকদার বলেন, এ উপজেলার ৩১টি হিমাগার রয়েছে, এর মধ্যে ২৬টি সচল রয়েছে। এসব হিমাগারগুলোতে ২৭৬৮. ১৫ মেট্রিক টন খাবার আলু মজুত রয়েছে।