জাকার্তায় প্রতিপক্ষকে ঠেকানোর পরিকল্পনা কাবরেরার

ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছে প্রথম দিন অনুশীলন ছিল না বাংলাদেশ ফুটবল দলের। গতকাল প্রথম সেশন অনুশীলন করেছেন ফুটবলাররা। জাকার্তায় বাংডুং স্টেডিয়ামে দেড় ঘণ্টার অনুশীলন হয়েছে। সেখান থেকে ভিডিও বার্তায় কথা বলেছেন রহমত মিয়া। তার কথায় স্পষ্ট স্প্যানিশ কোচ তার দলকে তৈরি করছেন কীভাবে প্রতিপক্ষকে ঠেকানো যায়। ফুটবল দল মূলত এশিয়ান কাপ ফুটবলে খেলবে বলে তার আগে প্রতিপক্ষকে ঠেকানোর প্রস্ত্ততি। রহমত মিয়া ভিডিও বার্তায় বললেন, ‘মূলত মেইন কাজটা হয়েছে ডিফেন্স নিয়ে। কীভাবে ব্লক করা যায়।’ কাবরেরা মাথায় বাইরাইন, তুর্কমিনিস্তান এবং মালয়েশিয়া। এই তিন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশকে খেলতে হলে যেমনটা শক্তির প্রয়োজন তা নেই, কোচ সেটা ভালো করেই বুঝেন। তাই কোচের মাথায় রক্ষণ সামাল দিয়ে পরে অন্য চিন্তা। রহমত মিয়ার কথায় সেটাই যেন ভেসে উঠল। আগে ঘর সামাল দিয়ে পরে আক্রমণের কথা ভাবো। অনুশীলনের প্রথম দিকে ডিফেন্সিভ মুডগুলো নিয়ে কাজ করা হয়। জাতীয় দল যখন ডাকা হয়েছিল তখন বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা ছিলেন না। তারা গিয়েছিলেন কলকাতায় এএফসি কাপ ফুটবলের খেলা খেলতে। সেখান থেকে আসার পরই সবাই চলে গেলেন ইন্দোনেশিয়ায়। তাই পুরো দলের এক সঙ্গে অনুশীলনটা করা হয়নি ঢাকায়। ঢাকায় গ্রুপ গ্রুপ করে অনুশীলন হয়। গতকাল জাকার্তায় পুরো দলের প্রথম অনুশীলন হয়েছে। ফুল স্পিডে অনুশীলন এখন হচ্ছে না। দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করে মেরামতের চেষ্টা করছেন। তাই হয়তো প্রথম দিনেই রক্ষণভাগ নিয়ে কাজ করলেন কোচ কাবরেরা।
সেটসিপ সমস্যা বাংলাদেশের ফুটবলের বড় একটা রোগ। গোল হজমের মহাসুযোগ তৈরি করে ফেলে প্রতিপক্ষ। এই দুর্বলতা ঠেকাতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রহমত মিয়া। তিনি বললেন, ‘অনুশীলনের শুরুতে রক্ষণভাগ নিয়ে আর শেষ দিকে সেটপিস নিয়ে কাজ করা হয়েছে। কীভাবে সেটপিস ঠেকাতে হবে। এখানে প্রথম দিনের অনুশীলনে সবাই সিরিয়াস থাকলেও তীব্রতা ছিল কম। খুব বেশি চাপও দেওয়া হয়নি।’ বাংলাদেশ ফুটবল দল এশিয়ান কাপের তিন ম্যাচ টার্গেট করে প্রস্ত্ততি শুরু করলেও তারা কতটুকু এগোতে পেরেছে—তা দেখার জন্য একটা ম্যাচ পাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ১ জুন সেই ম্যাচ। এই ম্যাচকে এডিস টেস্ট হিসাবে ধরছেন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। তিনি ভালো করেই জানেন তার আক্রমণভাগে দুর্বলতা রয়েছে। তাই আপাতত প্রথম কাজ হচ্ছে রক্ষণ এবং গোলপোস্ট যেন নিশ্ছিদ্র হয়।a