ভালোবাসার বিয়ের খেসারত দিলেন প্রেমিকের বৃদ্ধ বাবা

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে প্রেম-ভালোবাসার বিয়ের খেসারত দিতে হয়েছে প্রেমিকের বৃদ্ধ বাবাকে! প্রেমিকার ভগ্নিপতি ও ভাগিনা প্রেমিকের বৃদ্ধ বাবাকে টেনে হেঁচড়ে ঘর থেকে বের করে জুতা ও লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধ হামেদ আকনের (৮০) এর বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইরচর গ্রামের এমপির বাজারের
বাসিন্দা রাজ্জাক মোল্লার মেয়ে মনিরা বেগমকে (২২) ভালোবেসে প্রায় ৪ বছর আগে কাঠালিয়া গ্রামের হামেদ আকনের ছেলে নিপুন (২৪) গোপনে বিয়ে করেন। দীর্ঘ দিন বিষয়টি মনিরার পরিবার জানতে না পারায় মনিরার বাবা রাজ্জাক মোল্লা এবং
তার অন্য মেয়ের জামাই জিরাদ অন্যত্র মনিরার বিয়ে ঠিক করেন। বিয়ের কথা শুনে মনিরা পালিয়ে তার স্বামী নিপুন আকনের নিকট ঢাকায় চলে যায়। মনিরা ঢাকায় চলে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় মনিরার বাবা রাজ্জাক মোল্লা এবং ভগ্নিপতি জিরাদ আকন ও ভাগিনা আসিফ আকন। শনিবার দুপুরে মনিরার ভগ্নিপতি জিরাদ এবং ভাগিনা আসিফ আকন বাঁশের লাঠি এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বৃদ্ধ হামেদ আকনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে প্রথমে গালাগাল শুরু করে এবং মনিরাকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলেন। এক পর্যায়ে তারা নিপুন আকনের ঘরে প্রবেশ করে তার বৃদ্ধ
বাবাকে ঘর থেকে টেনে হেঁচড়ে বাইরে বের করে বাঁশের লাঠি ও জুতা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এসময় হামেদ আকনের বড় ছেলের স্ত্রী তানিয়া বেগম শ্বশুরকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়।
এঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত জিরাদ বাঁশের লাঠি নিয়ে বৃদ্ধ হামেদ আকনকে পেটাচ্ছেন এবং তার ছেলে আসিফ ওই বৃদ্ধের পিছনে দাঁড়িয়ে জুতাপেটা করছেন। এসময় হামেদ আকনের বড় ছেলের স্ত্রী তানিয়া বেগম শ্বশুড়কে রক্ষার্থে এগিয়ে আসলে জিরাদ লাঠি নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত
সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।