বন্যায় আসামে মৃত বেড়ে ৮৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৫ লাখ

টানা বৃষ্টি কমে এলেও ভারতের আসামের বন্যায় রাজ্যের ৩২ জেলায় ৫৫ লাখ বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৮৯ জন মারা গেছেন। ন্যাশনাল হেরালড ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বন্যাকবলিত নলবাড়ি ও কামরুপ জেলায় ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি জানান, রাজ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শিগগিরই প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
এদিকে বরাক ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে করিমগঞ্জ ও কাছাড় জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাছাড়ে ৫০৬টি গ্রামে ২ লাখ ১৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর করিমগঙ্গে ৪৫৪টি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার মানুষ।
শিলচরের বেশ কিছু এলাকা এখনও পানিতে ডুবে আছে। উদ্ধারকারীরা সেখান থেকে ৪২৫ জনকে উদ্ধার করেছেন এবং ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজার ৪৬৮ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী পরিমল শুক্লা বৈদ্য স্থানীয় বিধায়ক, জেলা প্রশাসক এবং কাছাড় ও করিমগঞ্জ উভয়ের সিনিয়র জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের বন্যাকবলিত এলাকায় এনডিআরএফ ইউনিটের কৌশলগত মোতায়েন করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
এর আগে আসামের পানিসম্পদমন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা বলেছিলেন, পরিস্থিতি খুব কঠিন। আমরা মানুষকে সাহায্যের জন্য জোর চেষ্টা করছি। বন্যাকবলিত এলাকায় মানুষের কাছে পৌঁছাতে অস্থায়ী সেতু বানানো হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন না হলে বা কোনো চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে আসামের রাজধানী গুয়াহাটির বেশির ভাগ অংশ স্থবির হয়ে পড়েছে। এ শহরেও বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ