বৃষ্টির সময় এই দোয়াটি পড়লে আপনার মনের আশা পূরণ হবে

আল্লাহ তালা পৃথিবীতে নানা’বিধ আপদ-বিপদ ও মুসিবত দিয়ে বান্দাকে পরীক্ষা করেন। সব রকম বিপ’দ-আপদে রক্ষা পাওয়ার কলা-কৌশল, দোয়া, জিকির-আজকার কোরআ’ন ও হাদিসে এসেছে। মেঘের গর্জন, ঝড় তুফান মহান আল্লাহ তালার মহাশ’ক্তির এক ছোট নিদর্শন। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছে সব বি’পদে সাহায্য চাইতেন। কেননা মহান আল্লাহই মানুষের সবচেয়ে বড় আশ্রয়’দাতা।
বৃষ্টি আল্লাহ পাক রাব্বুল আলা’মিনের এক নেয়ামত এবং রহমত। নবী করিম (সা.) বৃষ্টির পানি গায়ে লাগা’তেন। বর্ষাকালে যখনই বৃষ্টি হবে আমরা যেন নবী করিম (সা.) এর সুন্নত থে’কে বঞ্চিত না হই। অন্তত দুই এক ফোঁটা পানি হাতে নিয়ে শরীরে লাগানোর চে’ষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ! নবী করিম (সা.) এর সুন্নত পালন হয়ে যাবে। আল্লা’হর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত রহমতের বৃষ্টির আমলটিও হয়ে যাবে।
বৃষ্টির সময় যে বিশেষ দোয়া আ’ল্লাহ তায়ালা কখনোই ফিরিয়ে দেন না। সুতরাং বৃষ্টি বা অতিবৃষ্টিকে ভ’য় না পেয়ে প্রত্যেক মুসলিমের উচিত এই দোয়া পড়া। চলুন তবে জেনে নে’য়া যাক বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়। দোয়া’টি হলো- اللهم شيبان نافع উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ছায়্যিবান নাফিয়া। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! এমন বৃ’ষ্টি আমাদের ওপর বর্ষণ করুন যাতে ঢল, ধস বা আজা’বের মতো কোনো অমঙ্গল নিহিত নেই।’ (বুখারি: ১০৩২)।
যখনই বৃষ্টি শুরু হয় তখনই দোয়া করা উ’চিত। কারণ বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে দোয়া কবুল হয়। এই সময় দোয়া করাও সু’ন্নত। বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ আবু দাউদ শরিফের ২৫৪০ নম্বর হাদিসে বর্ণি’ত হয়েছে, হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলে’ছেন, দুই সময়ের দোয়া কখনো ফেরত দেয়া হয় না।
সুতরাং একজন খাঁটি মুসলিম হি’সেবে আমাদের উচিত যখনই বৃষ্টি নামবে তখন কোনো প্রকারের হা-হুতাশ না ক’রে দোয়া করা। আশা করা যায় মহান আল্লাহ এই দোয়া কবুল কর’বেন।