আগামী কাল ২৬ শে মার্চ মহাণ স্বাধীনতা দিবস দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সাভারের স্মৃতিসৌধে এর মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে

মোঃমনির মন্ডল,সাভারঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাবনের জন্য প্রস্তুত স্মৃতিসৌধ। দিবসটি পালনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। দিবসটি উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম করে সৌধ প্রাঙ্গণকে দিয়েছে নতুন রূপ। নিরপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, উচ্চ মাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারীর পাশাপাশি সৌধ এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তর সাভার ডিভিশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গত ১৬ই মার্চ থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীসহ জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ২২শে মার্চ এসএসএফ’র সভার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বাইরে কাউকেই স্মৃতিসৌধে প্রবেশে করতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি গণমাধ্যম কর্মীদেরও প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে ধুয়ে-মুছে, রঙতুলির আঁচড়ে রঙ- বেরঙের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীসহ সকলের নিরাপত্তার জন্য সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এখানকার পুলিশ ও আনসার ক্যাম্পকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখা হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ বসানোর পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য আগের চেয়ে ফোর্স আরও বাড়ানো হয়েছে।